রৌদ্রমেঘের গল্প
খাবার টেবিলে বসে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচনা করেছিলেন পৃথিবীর সবচাইতে ছোট গল্পটি। ছয় শব্দের সে গল্পটির প্রভাব এতটাই প্রবল ছিল যে পশ্চিমা সাহিত্যে রীতিমতো ‘সিক্স ওয়ার্ড স্টোরি’ নামে নতুন একটি গল্পধারার সূচনা ঘটে যায়। পশ্চিমে এ ধরনের গল্প লেখার বেশ চর্চা থাকলেও বাংলা সাহিত্যে সে রকম কোনো নিরীক্ষা এখনও হয়নি।
‘রৌদ্রমেঘের গল্প’ একটি গল্পগ্রন্থ। ছোট ছোট গল্প নিয়ে তৈরি এ বইটি গঠনেও বেশ ভিন্ন, দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ছোট্ট আকারের একটি বই। কিন্তু এখানে গল্প রয়েছে সব মিলিয়ে ২০০টি। গল্পগুলো আকারে অতিক্ষুদ্র, সবগুলো গল্পই রচিত হয়েছে একটা বা দুটো বাক্যে। এই একটা বাক্যেই লেখক ধারণ করেছেন সুবৃহৎ জীবনালেক্ষ; অনেকটা বিন্দুতে সিন্ধু ধরার মতো।
বইয়ের ২৬ নং গল্পে যখন দেখা যায়:
প্রেমিক ছেলেটি বিয়ের পর কীভাবে যেন ‘স্বামী’ হয়ে গেল।
বা ৬০ নং গল্পে:
: বৃষ্টি হচ্ছে, দেখ!
:: বৃষ্টি হচ্ছে; দেখ?
বা ১৬৮ নং গল্পে:
সে তাকে আজও ভালোবাসে।
তখন ‘বিন্দুতে সিন্ধু’ প্রবাদটিই বারবার মনে পড়ে যায়।
বইটি সম্পর্কে প্রকাশকের মন্তব্য হলো, ‘একটিমাত্র বাক্যে একটি পুরোদস্তুর গল্প বলে ফেলার এই শৈল্পিক সাহিত্যধারার সাথে এখনও বাঙালি পাঠকের পরিচয় ঘটেনি। বাংলা ভাষার সাহিত্যে এ রকম প্রচেষ্টা এই প্রথম।’
বিদগ্ধজনের মতে, এটি নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সংযোজন।
ওয়াহেদ সবুজ বাংলায় এ গল্পগুলোর নাম দিয়েছেন ‘ছোট্ট গল্প’।